আইনশৃঙ্খলার ক্রমাবনতি
আবু সালেহ আকন
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, মঙ্গলবার , নয়া দিগন্ত
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, মঙ্গলবার , নয়া দিগন্ত
ক্রমেই অবনতি ঘটছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির। খুন-জখম, নারী ও শিশু নির্যাতন,
অপহরণ, ছিনতাই-চাঁদাবাজি ও চুরি-ডাকাতি ভয়াবহভাবে বেড়ে চলছে। খোদ
রাজধানীতে পুলিশের সাথে সন্ত্রাসীদের বন্দুকযুদ্ধের খবরে সাধারণ মানুষের
মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়াচ্ছে। পুলিশের হাতে আটক দুই যুবক এই বন্দুকযুদ্ধে
নিহত হলেও পুলিশ সংঘর্ষে জড়িত সন্ত্রাসীদের ধরতে সক্ষম হয়নি। দ্বিপক্ষীয়
সংঘর্ষের কোনো আলামতও পাওয়া যায়নি। কোনো কোনো অপরাধের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীর সদস্যরাই জড়িয়ে পড়ছে। তাদের কিছু সদস্যের বেপরোয়া আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে
উঠেছেন কোনো কোনো এলাকার মানুষ। অবৈধ অর্থ আদায়, অপহরণের পর মুক্তিপণ,
এমনকি মাদক ব্যবসায়ীদের সহায়তার অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে কারো কারো বিরুদ্ধে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক ঘটছে খুন। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গড়ে প্রতিদিন ১৩টির বেশি খুনের ঘটনা ঘটছে। খুনের সাথে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে হতাহতের ঘটনা। ‘ক্রসফায়ার’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে দেশের কোথাও না কোথাও নিহতের ঘটনা ঘটছে। গত শুক্রবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর সুতিখালপাড় এলাকায় পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে দুই যুবক। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত দুই যুবকের বিরুদ্ধে খুনসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ জানায়, তাদের আটকের পর অস্ত্র উদ্ধারে বের হলে তাদের সহযোগী সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। কিন্তু পুলিশের গুলিতে তাদের হাতেই আটক সালাহ উদ্দিন ও জুয়েল নামে ওই দুই যুবক নিহত হয়। নিহত দুই যুবককে রাস্তার ওপর ফেলে রাখা হয়। তাদের দেখতে শত শত মানুষ ভিড় জমায়। রাজধানীতে এভাবে রাস্তায় লাশ পড়ে থাকতে দেখে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজধানীসহ সারা দেশে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসায়। শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে মাদক বেচাকেনা ও সেবন চলছে। এমন দুই শতাধিক স্পট রয়েছে, যেখানে প্রশাসনের চোখের সামনেই হচ্ছে সব। এর সাথে পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় দলীয় মাস্তানদের সম্পৃক্ততার তথ্যও রয়েছে। এ দিকে, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে পুলিশের সাভার থানার এএসআই ফাজিকুল ইসলামকে। স্থানীয় সূত্র জানায়, সাভারে অভিযোগে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন যারা নানা অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত। ঘুরে ফিরে এরা সাভার থানাতেই রয়েছেন। গত শুক্রবার রাতে ফাজিকুল এবং তার সহযোগীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানোর সময় আমিনবাজার এলাকায় এই বাহিনীর সদস্যরা র্যাবের ওপর আক্রমণ চালায়।
নারী নির্যাতনের ঘটনা আশঙ্কাজনকহারে বেড়েই চলছে। সূত্র জানায়, গড়ে প্রতিদিন দেশে ৩৫টির মতো নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। শনিবার রাতেও রাজধানীর ভাসানটেক এলাকায় তিন তরুণীকে আটকে তাদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়।
সাম্প্রতিক অনুসন্ধান ও বার্ষিক পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতির চিত্রই ফুটে ওঠে। পুলিশ সদর দফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম মাসেই দেশে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ৬৮টি। দস্যুতা ঘটনা ৯৩টি। খুন হয়েছে ৪১৭ জন। দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে সাতটি। অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ৪৯টি। ১১২টি পুলিশ অ্যাসল্টের (মারধর) ঘটনা ঘটে। চুরির ঘটনা ঘটেছে সাত হাজার ৩৭টি। অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে ১৭৭টি। বছরের প্রথম মাসে সারা দেশে মোট মামলা হয়েছে ১২ হাজার ৯৫২টি।
২০১৩ সালে দেশে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ৬১৩টি। দস্যুতার ঘটনা এক হাজার ২১টি। খুন হয়েছে চার হাজার ৩৯৩টি। দাঙ্গার ঘটনা ১৭২টি। নারী-শিশু নির্যাতনের ঘটনা এক হাজার ৯০১টি। অপহরণের ঘটনা ৮৭৯টি। পুলিশের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে এক হাজার ২৫৭টি। চুরির ঘটনা সাত হাজার ৮৮২টি। অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে এক হাজার ৫১৭টি। ২০১৩ সালে বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় দেশে মোট মামলার দায়ের হয়েছে এক লাখ ৭৯ হাজার ১৯৯টি।
২০১২ সালে দেশে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ৫৯৩টি, দস্যুতা ৯৬৪টি। খুনের ঘটনা চার হাজার ১১৪টি। দাঙ্গা ৯৪টি। নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা দুই হাজার ৯৪৭টি। অপহরণের ঘটনা ৮৫০টি। পুলিশ আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে ৬৫৯টি। চুরির ঘটনা আট হাজার ৫৯৮টি। অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে এক হাজার ৫১১টি। ২০১২ সালে দেশে মোট মামলার সংখ্যা এক লাখ ৮৩ হাজার ৪০৭টি।
২০১১ সালে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ৬৫০টি। দস্যুতা এক হাজার ৬৯টি। খুনের ঘটনা তিন হাজার ৯৬৬। দাঙ্গার ঘটনা ১০৯টি। নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে ২১ হাজার ৩৮৯টি। অপহরণের মামলা হয়েছে ৭৯২টি। পুলিশ আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে ৫৮১টি। চুরির ঘটনা আট হাজার ৮৭৩টি। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে এক হাজার ২৬৯টি। ২০১১ সালে মোট মামলা হয়েছে এক লাখ ৬৯ হাজার ৬৬৭টি।
২০১০ সালে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ৫৫৬টি। দস্যুতার ঘটনা এক হাজার ৫৯টি। খুনের ঘটনা ঘটেছে তিন হাজার ৯৮৮টি। দাঙ্গার ঘটনা ১৩০টি। নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ১৭ হাজার ৭৫২টি। অপহরণের ঘটনায় ৮৭০টি। পুলিশ আক্রান্তের ঘটনা ৪৭৩টি। চুরির ঘটনা আট হাজার ৫২৯টি। অস্ত্র মামলা হয়েছে এক হাজার ৫৭৫টি। ২০১০ সালে অপরাধের ঘটনায় মোট মামলা হয়েছে এক লাখ ৬২ হাজার ৮৯৮টি।
দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক ঘটছে খুন। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গড়ে প্রতিদিন ১৩টির বেশি খুনের ঘটনা ঘটছে। খুনের সাথে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে হতাহতের ঘটনা। ‘ক্রসফায়ার’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে দেশের কোথাও না কোথাও নিহতের ঘটনা ঘটছে। গত শুক্রবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর সুতিখালপাড় এলাকায় পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে দুই যুবক। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত দুই যুবকের বিরুদ্ধে খুনসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ জানায়, তাদের আটকের পর অস্ত্র উদ্ধারে বের হলে তাদের সহযোগী সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। কিন্তু পুলিশের গুলিতে তাদের হাতেই আটক সালাহ উদ্দিন ও জুয়েল নামে ওই দুই যুবক নিহত হয়। নিহত দুই যুবককে রাস্তার ওপর ফেলে রাখা হয়। তাদের দেখতে শত শত মানুষ ভিড় জমায়। রাজধানীতে এভাবে রাস্তায় লাশ পড়ে থাকতে দেখে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজধানীসহ সারা দেশে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসায়। শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে মাদক বেচাকেনা ও সেবন চলছে। এমন দুই শতাধিক স্পট রয়েছে, যেখানে প্রশাসনের চোখের সামনেই হচ্ছে সব। এর সাথে পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় দলীয় মাস্তানদের সম্পৃক্ততার তথ্যও রয়েছে। এ দিকে, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে পুলিশের সাভার থানার এএসআই ফাজিকুল ইসলামকে। স্থানীয় সূত্র জানায়, সাভারে অভিযোগে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন যারা নানা অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত। ঘুরে ফিরে এরা সাভার থানাতেই রয়েছেন। গত শুক্রবার রাতে ফাজিকুল এবং তার সহযোগীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানোর সময় আমিনবাজার এলাকায় এই বাহিনীর সদস্যরা র্যাবের ওপর আক্রমণ চালায়।
নারী নির্যাতনের ঘটনা আশঙ্কাজনকহারে বেড়েই চলছে। সূত্র জানায়, গড়ে প্রতিদিন দেশে ৩৫টির মতো নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। শনিবার রাতেও রাজধানীর ভাসানটেক এলাকায় তিন তরুণীকে আটকে তাদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়।
সাম্প্রতিক অনুসন্ধান ও বার্ষিক পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতির চিত্রই ফুটে ওঠে। পুলিশ সদর দফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম মাসেই দেশে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ৬৮টি। দস্যুতা ঘটনা ৯৩টি। খুন হয়েছে ৪১৭ জন। দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে সাতটি। অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ৪৯টি। ১১২টি পুলিশ অ্যাসল্টের (মারধর) ঘটনা ঘটে। চুরির ঘটনা ঘটেছে সাত হাজার ৩৭টি। অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে ১৭৭টি। বছরের প্রথম মাসে সারা দেশে মোট মামলা হয়েছে ১২ হাজার ৯৫২টি।
২০১৩ সালে দেশে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ৬১৩টি। দস্যুতার ঘটনা এক হাজার ২১টি। খুন হয়েছে চার হাজার ৩৯৩টি। দাঙ্গার ঘটনা ১৭২টি। নারী-শিশু নির্যাতনের ঘটনা এক হাজার ৯০১টি। অপহরণের ঘটনা ৮৭৯টি। পুলিশের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে এক হাজার ২৫৭টি। চুরির ঘটনা সাত হাজার ৮৮২টি। অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে এক হাজার ৫১৭টি। ২০১৩ সালে বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় দেশে মোট মামলার দায়ের হয়েছে এক লাখ ৭৯ হাজার ১৯৯টি।
২০১২ সালে দেশে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ৫৯৩টি, দস্যুতা ৯৬৪টি। খুনের ঘটনা চার হাজার ১১৪টি। দাঙ্গা ৯৪টি। নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা দুই হাজার ৯৪৭টি। অপহরণের ঘটনা ৮৫০টি। পুলিশ আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে ৬৫৯টি। চুরির ঘটনা আট হাজার ৫৯৮টি। অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে এক হাজার ৫১১টি। ২০১২ সালে দেশে মোট মামলার সংখ্যা এক লাখ ৮৩ হাজার ৪০৭টি।
২০১১ সালে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ৬৫০টি। দস্যুতা এক হাজার ৬৯টি। খুনের ঘটনা তিন হাজার ৯৬৬। দাঙ্গার ঘটনা ১০৯টি। নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে ২১ হাজার ৩৮৯টি। অপহরণের মামলা হয়েছে ৭৯২টি। পুলিশ আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে ৫৮১টি। চুরির ঘটনা আট হাজার ৮৭৩টি। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে এক হাজার ২৬৯টি। ২০১১ সালে মোট মামলা হয়েছে এক লাখ ৬৯ হাজার ৬৬৭টি।
২০১০ সালে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ৫৫৬টি। দস্যুতার ঘটনা এক হাজার ৫৯টি। খুনের ঘটনা ঘটেছে তিন হাজার ৯৮৮টি। দাঙ্গার ঘটনা ১৩০টি। নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ১৭ হাজার ৭৫২টি। অপহরণের ঘটনায় ৮৭০টি। পুলিশ আক্রান্তের ঘটনা ৪৭৩টি। চুরির ঘটনা আট হাজার ৫২৯টি। অস্ত্র মামলা হয়েছে এক হাজার ৫৭৫টি। ২০১০ সালে অপরাধের ঘটনায় মোট মামলা হয়েছে এক লাখ ৬২ হাজার ৮৯৮টি।
Comments
Post a Comment