আজকের ভোটের হালচিত্র
কাপাসিয়ায় ব্যালট পেপার ছিনতাই
নিয়াজ মাহমুদ, কাপাসিয়া (গাজীপুর) থেকে | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, বুধবার, ১২:৪৯এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোতাহার হোসেন মোল্লা। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন অধ্যাপক রুহুল আমিন। বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আজিজুর রহমান। কাপাসিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা ১২টা পর্যন্ত ৫০০ ভোট কাস্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. জামান। এ কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ২৮৪৪। এখানে ভোটারের কোন লাইন দেখা যায়নি। সূর্যনারায়ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সরজমিন পরিদর্শনেও ভোটার উপস্থিতির প্রায় একই দৃশ্য দেখা যায়। এ কেন্দ্রে পরুষ বুথে বেলা ১২টা পর্যন্ত চারশ’ ভোট পড়েছে বলে জানা গেছে। নারী বুথে ভোট পড়েছে ৫৮টি।
পাবনার সুজানগরে নির্বাচন বর্জন, বৃহস্পতিবার হরতাল
রাজিউর রহমান রুমী, পাবনা থেকে | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, বুধবার, ১২:০১ | সুজানগর উপজেলায় ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনর বর্জন করেছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল বৃহস্পতিবার উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহবান করেছে উপজেলা বিএনপি।জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলার ৬৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৪০টি ভোট কেন্দ্রে ব্যাপক কারচুপি ও ভোটারদের বাড়ি থেকে বের হতে বাঁধা প্রদান এবং জোরপূর্বক ব্যালট পেপারে সিল মারা হয়েছে।
এছাড়াও জেলার আটঘরিয়া উপজেলার অভিরামপুর ও গোপালপুর ভোট কেন্দ্রে ১৯ দল সমর্থিক জামাতের প্রার্থী জহুরুল ইসলাম খানের এজেন্টদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি এবং জোরপূর্বক সীল মারা হয়েছে বলে চেয়ারম্যান প্রার্থী অভিেেযাগ করেন।
গৌরনদীতে আওয়ামী লীগ ছাড়া সব প্রার্থীর নির্বাচন বর্জন
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, বুধবার, ১১:২৮ |৫ উপজেলায় বিএনপি ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের নির্বাচন বর্জন
অনলাইন ডেস্ক | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, বুধবার, ১:৩১ | ভোট জালিয়াতির অভিযোগে ৪ উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ও এক উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। উপজেলাগুলো হলো- পাবনার সুজানগর, বরিশালের গৌরনদী, ভোলার লালমোহন, ঝিনাইদহের শৈলকুপা ও সিরাজগঞ্জের কাজীপুর। পাবনার সুজানগরের বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করে বৃহস্পতিবার হরতালের ডাক দিয়েছেন। ভোটবর্জনের ঘোষণা দিয়ে প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন, সরকার দলের ক্যাডার বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের এজেন্টদের বের করে দিয়ে একতরফা সিল মারছেন। বিভিন্ন কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাই ও এজেন্টদের মারধর করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে যেতে ভোটারদের বাধা দিচ্ছেন সরকার সমর্থিত প্রার্থীর লোকজন। এছাড়া বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর লোকজনের সঙ্গে সংঘর্ষেও ঘটনা ঘটে।স্টাফ রিপোর্টার, পাবনা থেকে জানান, সুজানগর উপজেলায় ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনর বর্জন করেছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল বৃহস্পতিবার উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহবান করেছে উপজেলা বিএনপি। জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলার ৬৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৪০টি ভোট কেন্দ্রে ব্যাপক কারচুপি ও ভোটারদের বাড়ি থেকে বের হতে বাঁধা প্রদান এবং জোরপূর্বক ব্যালট পেপারে সিল মারা হয়েছে। এছাড়াও জেলার আটঘরিয়া উপজেলার অভিরামপুর ও গোপালপুর ভোট কেন্দ্রে ১৯ দল সমর্থিক জামাতের প্রার্থী জহুরুল ইসলাম খানের এজেন্টদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি এবং জোরপূর্বক সীল মারা হয়েছে বলে চেয়ারম্যান প্রার্থী অেিভেযাগ করেন।
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে জানান, বরিশালের গৌরনদীতে কেন্দ্র দখল এবং জালিয়াতির অভিযোগ এনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী লোকমান হোসেন ও বিদ্রোহী প্রার্থীসহ সকল প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। সকাল ১০টায় সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ ঘোষণা দেন। এ উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করছেন শাহ আলম। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের অভিযোগ সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর লোকজন কেন্দ্র দখল করে ভোট দিচ্ছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে কাল গৌরনদীতে আধাবেলা হরতাল ডেকেছেন প্রার্থীরা।
ভোলা প্রতিনিধি জানান, ভোলার লালমোহনের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর এজেন্টদেরকে বের করে দেয়া হয়েছে। আজ সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরুর পর উপজেলায় অন্তত বিশটি কেন্দ্রে এজেন্ট বের করে দেয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ঘটনায় বিএনপি সমর্থক প্রার্থী আক্তারুজ্জামান টিটো নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন। সকাল সোয়া ১০টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। চরভুটা হাজিগঞ্জ কেন্দ্রের এজেন্ট জসিম, করিম ও বাবুলকে তাদের এজেন্ট ফরম ছিনিয়ে নিয়ে বের করে দেয়া হয় ভোট গ্রহণ শুরুর আগেই। পরে কলমা ইউনিয়নের তোরাবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কচুয়াখালী সরকারি প্রাথামিক বিদ্যালয়, কেরামতিয়া দাখিল মাদ্রাসা, ফরাজগঞ্জ আশরাফিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ড. আজহারউদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ, সাতানিয়া বাজার কেন্দ্র, লালমোহন ইসলামী কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্র, পাবলিক লাইব্রেরি কেন্দ্র থেকে বিএনপি সমর্থক প্রার্থীর সব এজেন্টকে বের করে দেয়া হয়। উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের সকল কেন্দ্রের এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, নির্বাচন চলাকালীন সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও বহিস্কৃত প্রাথী মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ নির্বাচন বয়কটের ঘোষনা দিয়ে ভোট বর্জন করেছেন। বুধবার সকাল ১১টার দিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোজাম্মেল হক সরকার বকুল সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপি, জোরপূর্বক এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে রেব করে দেয়া ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে উপজেলার মাইজবাড়ি এলাকার নিজ বাড়িতে এ ঘোষণা দেন। এ উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী রবিউল হাসান চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন। অভিযোগ অস্বীকার করে মোজাম্মেল হক সরকার বকুল বলেন, আবুল কালাম আজাদ নিজের মাইজবাড়ি ইউনিয়ন ছাড়া অন্যান্য ১০টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার কেন্দ্র গুলোতে এজেন্টই দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। যে কারনে নির্বাচনে হেরে যাবার আশংকায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রির্টানিং অফিসার শাফিউল ইসলাম বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠভাবে পরিচালনায় সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি ও পুলিশ বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্বে রয়েছেন। আবুল কালাম আজাদ সকাল থেকে সে সমস্ত অভিযোগ দিয়েছেন তা অবগত হয়ে আমরা তাৎক্ষনিক সেখানে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পাইনি।
Comments
Post a Comment