এমপি মঈনুদ্দিন খান বাদলের বিরুদ্ধে শশ্মান দখলের অভিযোগ বৌদ্ধদের
Wed, 19 Feb, 2014 08:12:50 PM
চট্টগ্রাম ব্যুরো
নতুন বার্তা ডটকম
নতুন বার্তা ডটকম
চট্টগ্রাম: মহাজোটের সংসদ সদস্য ও জাসদের কার্যকরী সভাপতি মঈনুদ্দিন খান
বাদলের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে বৌদ্ধদের একটি ধর্মীয়
প্রতিষ্ঠানের জায়গা দখলের অভিযোগ করেছেন বৌদ্ধ নেতারা। তারা ‘এ নিয়ে
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তোলপাড়’ ওঠার আগেই দ্রুত প্রতিকার চেয়ে সরকারের
হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বৌদ্ধদের স্থানীয় সংগঠন ‘আর্য্য ভাবনা কুটির’-এর কর্মকর্তারা আরো অভিযোগ করেন, পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় উপজেলার করলডেঙ্গা বৌদ্ধদের আর্য্য ভাবনা কুটির মহাশ্মশান কমপ্লেক্সের জমি স্থানীয় এমপি মাঈনুদ্দিন খান বাদল দখলে নিয়ে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছেন।
বৌদ্ধ নেতারা বলেন, মহাজোটের স্থানীয় সংসদ সদস্য মাঈনুদ্দিন খান বাদল বৌদ্ধমন্দিরের শ্মশানের জায়গায় ডাকবাংলো ও পুলিশের ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণের জন্য দুই একর জায়গা চান। জমি না পেয়ে প্রশাসনকে ব্যবহার করে গত ১২ ফেব্রুয়ারি একটি উচ্ছেদের নোটিশ দেয়া হয়। এতে আর্য্য ভাবনা কুটির মহাশ্মশান কমপ্লেক্সকে অবৈধ দখল বলে উল্লেখ করে সাত দিনের মধ্যে ছেড়ে দিতে নির্দেশ দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)।
১৮ শতকের পুরনো এই মহাশ্মশান কমপ্লেক্সের জমি দখলে নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসনকে দিয়ে আর্য্য ভাবনা কুটিরের পরিচালনা কমিটিকে নোটিশ দেয়া হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আর্য্য ভাবনা কুটিরের প্রধান সমন্বয়ক রঞ্জিত কুমার বড়ুয়া দাবি করেন, মহাশ্মশান কমপ্লেক্সের জমি ছেড়ে দেয়ার জন্য মাঈনুদ্দিন খান বাদল ও তার বাহিনী বোয়ালখালী থানার ওসিকে দিয়ে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করছেন।
বৌদ্ধনেতারা মাঈনুদ্দিন খান বাদলকে ‘ভূমিদস্যু’আখ্যা দিয়ে বলেন, “মহাজোট সরকারের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে কালিমাযুক্ত করতেই স্থানীয় সংসদ সদস্য ভূমিদস্যুতায় মেতে উঠেছেন। শত শত বছরের পুরনো ভাবনা কুটির, বৌদ্ধমন্দিরের শ্মশানের সম্পত্তি দখল করে বেআইনিভাবে ডাকবাংলো ও পুলিশের ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।” তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এতে সম্প্রীতি বিনষ্ট হবে, বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর মৃতদেহ সৎকারে দুর্ভোগ বাড়বে।
বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির চেয়ারম্যান অজিৎ রঞ্জন বড়ুয়া সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “মাঈনুদ্দিন খান বাদল নিজে সরাসরি কয়েকবার আর্য্য ভাবনা কুটির মহাশ্মশান কমপ্লেক্সে গিয়ে ডাকবাংলো করার জন্য জমি চেয়েছেন। বৌদ্ধদের এই পবিত্র স্থানে ডাকবাংলো করার জন্য জমি না পেয়ে জোর করে প্রশাসনকে দিয়ে আর্য্য ভাবনা কুটির মহাশ্মশান কমপ্লেক্স উচ্ছেদের জন্য নোটিশ দিয়েছেন। এটা পুরোপুরি বেআইনি। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।”
সরকারের সতর্ক করে দিয়ে অজিৎ রঞ্জন বড়ুয়া বলেন, “আমাদের মানববন্ধন ও সভা-সমাবেশ করে আর্ন্তজাতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করতে বাধ্য করবেন না। আমরা শান্তি চাই। শান্তভাবে বাঁচতে চাই। যেখানে ধর্ম থাকে না, সেখানে মানুষ তার অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলে। আমরা চাই না এমন কিছু হোক, যা দেশের জন্য অমঙ্গল বয়ে আনবে।”
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট জয়শান্ত বিকাশ বড়ুয়া, অ্যাডভোকেট সুজন কুমার বড়ুয়া, অমল চৌধুরী, গৃহবর্ধণ বড়ুয়া, তনিশেন বড়ুয়া ও প্রভাষ চন্দ্র বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
নতুন বার্তা/এমএস/মোআ
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বৌদ্ধদের স্থানীয় সংগঠন ‘আর্য্য ভাবনা কুটির’-এর কর্মকর্তারা আরো অভিযোগ করেন, পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় উপজেলার করলডেঙ্গা বৌদ্ধদের আর্য্য ভাবনা কুটির মহাশ্মশান কমপ্লেক্সের জমি স্থানীয় এমপি মাঈনুদ্দিন খান বাদল দখলে নিয়ে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছেন।
বৌদ্ধ নেতারা বলেন, মহাজোটের স্থানীয় সংসদ সদস্য মাঈনুদ্দিন খান বাদল বৌদ্ধমন্দিরের শ্মশানের জায়গায় ডাকবাংলো ও পুলিশের ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণের জন্য দুই একর জায়গা চান। জমি না পেয়ে প্রশাসনকে ব্যবহার করে গত ১২ ফেব্রুয়ারি একটি উচ্ছেদের নোটিশ দেয়া হয়। এতে আর্য্য ভাবনা কুটির মহাশ্মশান কমপ্লেক্সকে অবৈধ দখল বলে উল্লেখ করে সাত দিনের মধ্যে ছেড়ে দিতে নির্দেশ দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)।
১৮ শতকের পুরনো এই মহাশ্মশান কমপ্লেক্সের জমি দখলে নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসনকে দিয়ে আর্য্য ভাবনা কুটিরের পরিচালনা কমিটিকে নোটিশ দেয়া হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আর্য্য ভাবনা কুটিরের প্রধান সমন্বয়ক রঞ্জিত কুমার বড়ুয়া দাবি করেন, মহাশ্মশান কমপ্লেক্সের জমি ছেড়ে দেয়ার জন্য মাঈনুদ্দিন খান বাদল ও তার বাহিনী বোয়ালখালী থানার ওসিকে দিয়ে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করছেন।
বৌদ্ধনেতারা মাঈনুদ্দিন খান বাদলকে ‘ভূমিদস্যু’আখ্যা দিয়ে বলেন, “মহাজোট সরকারের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে কালিমাযুক্ত করতেই স্থানীয় সংসদ সদস্য ভূমিদস্যুতায় মেতে উঠেছেন। শত শত বছরের পুরনো ভাবনা কুটির, বৌদ্ধমন্দিরের শ্মশানের সম্পত্তি দখল করে বেআইনিভাবে ডাকবাংলো ও পুলিশের ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।” তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এতে সম্প্রীতি বিনষ্ট হবে, বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর মৃতদেহ সৎকারে দুর্ভোগ বাড়বে।
বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির চেয়ারম্যান অজিৎ রঞ্জন বড়ুয়া সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “মাঈনুদ্দিন খান বাদল নিজে সরাসরি কয়েকবার আর্য্য ভাবনা কুটির মহাশ্মশান কমপ্লেক্সে গিয়ে ডাকবাংলো করার জন্য জমি চেয়েছেন। বৌদ্ধদের এই পবিত্র স্থানে ডাকবাংলো করার জন্য জমি না পেয়ে জোর করে প্রশাসনকে দিয়ে আর্য্য ভাবনা কুটির মহাশ্মশান কমপ্লেক্স উচ্ছেদের জন্য নোটিশ দিয়েছেন। এটা পুরোপুরি বেআইনি। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।”
সরকারের সতর্ক করে দিয়ে অজিৎ রঞ্জন বড়ুয়া বলেন, “আমাদের মানববন্ধন ও সভা-সমাবেশ করে আর্ন্তজাতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করতে বাধ্য করবেন না। আমরা শান্তি চাই। শান্তভাবে বাঁচতে চাই। যেখানে ধর্ম থাকে না, সেখানে মানুষ তার অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলে। আমরা চাই না এমন কিছু হোক, যা দেশের জন্য অমঙ্গল বয়ে আনবে।”
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট জয়শান্ত বিকাশ বড়ুয়া, অ্যাডভোকেট সুজন কুমার বড়ুয়া, অমল চৌধুরী, গৃহবর্ধণ বড়ুয়া, তনিশেন বড়ুয়া ও প্রভাষ চন্দ্র বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
নতুন বার্তা/এমএস/মোআ
Comments
Post a Comment