গুম আর ক্রসফায়ার : মৃত্যু উপত্যকা বাংলাদেশ
ইলিয়াস হোসেন
|
একটি অনলাইন পত্রিকায় কাজ করেন নজরুল ইসলাম। প্রতিদিন সকাল ৯টায় তার
শিফট শুরু হয়। মধ্যরাতের পর যেসব উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে, সেসব সংবাদ
সম্পাদনা করে তাকে সকালে অনলাইনে পোস্ট দিতে হয়।
কিন্তু গত ক’দিন ধরে অফিসে ঢুকে প্রতিদিনই উদ্বেগ-উত্কণ্ঠা নিয়ে তিনি কম্পিউটার অন করেন। প্রায় প্রতিদিনই দেখা যায় নিজস্ব সূত্র এবং সহযোগী অন্যান্য গণমাধ্যমের অনলাইনে চোখ বোলাতেই ভেসে ওঠে একাধিক বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের খবর। নিরাপত্তা বাহিনী যাকে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বা ‘ক্রসফায়ার’ বলে দাবি করে থাকে।
আমার দেশকে নজরুল ইসলাম (ছদ্মনাম) বলেন, ‘ভাই, ভয়ে ভয়ে কম্পিউটার খুলি। মধ্যরাতের পর টিভিও দেখার সময় হয় না, ইন্টারনেটেও আপডেট জানার সুযোগ হয় না। তাই আশঙ্কায় থাকি—না জানি রাতে কয়জন কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।’
নজরুল ইসলামের আশঙ্কা প্রায় প্রতিদিনই সত্যে পরিণত হয়। এখন প্রায় প্রতিদিনই দু’চারজন ক্রসফায়ারের নামে নির্বিচারে হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছেন।
নজরুল ইসলামের নিজের অন্তত কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার আশঙ্কা নেই। কিন্তু যারা বিরোধী দলের স্থানীয় বা মধ্যমসারির নেতা, আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী আন্দোলনে যারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, প্রতি মুহূর্তে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির আশঙ্কা তাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।
সরকারি বাহিনী দ্বারা গুম এবং এরপর প্রায় অনিবার্য পরিণতি গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় বা ডোবায় লাশ পড়ে থাকার আশঙ্কায় আছেন তারা।
বস্তুত ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। চারদিকে এখন ‘গুম’ আর ‘ক্রসফায়ার’ আতঙ্ক।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আগে মোটামুটি একটি ভরসা ছিল যে, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে না নামলে অন্তত নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি খেয়ে মরতে হবে না। এখন আর সে অবস্থা নেই। এখন কৃষিক্ষেত থেকে, বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়ে মধ্যরাতে কথিত ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধের নামে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে।
মানবাধিকার সংগঠন এবং রাজনৈতিক নেতারা বলছেন, ক্রসফায়ারের নামে ঠাণ্ডা মাথায় বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের হত্যা করছে সরকারি বাহিনী।
আমার দেশ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে জানুয়ারি মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় অন্তত ৭১ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে বিএনপি ও জামায়াতের ৫০ নেতাকর্মী হয় নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতেই কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন অথবা গ্রেফতারের পর লাশ পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জানুয়ারি মাসে সারাদেশে ৫৬৮টি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১৮ জনের বেশি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এ সময় গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন ৬৫ জন।
সম্প্রতি এক বিবৃতিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, ‘বাংলাদেশে আমরা ক্রসফায়ারের নামে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হত্যার ভয়াবহ নমুনা দেখছি।’
গত ২২ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সরকার সরাসরি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়েছে। সাতক্ষীরা, চাঁদপুর, উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকবলিত। এসব জায়গা দেখে মনে পড়ে পাক হানাদারদের নৃশংসতার ঘটনা।’
তিনি বলেন, ‘দলীয় হিসাবে গত তিন মাসে সারাদেশে ২২৭ জন নিহত ও গুম হয়েছে ১৮৭ জন। আর জোটগত হিসাবে ১৮ দলসহ নিহতের এ সংখ্যা ২৯৪ জন।’
গত রোববার এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ বলেন, গত ৪৩ দিনে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের ৫৯ নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে ঠাণ্ডা মাথায় জামায়াত ও ছাত্রশিবির নেতাদের একে একে গুলি করে হত্যা করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল প্রকাশিত এক নিবন্ধে বিশিষ্ট সাংবাদিক সিরাজুর রহমান লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ এখন সত্তরের দশকের কম্বোডিয়ার মতো একটা কিলিং ফিল্ডে পরিণত হয়েছে। .... ৫ জানুয়ারির পর থেকে প্রায় দিনই দু’চারটি গলাকাটা লাশ পাওয়া যাচ্ছে, বন্দুক-যুদ্ধের মিথ্যা অপবাদে বিএনপি এবং জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। পুলিশ-র্যাব ধরে নিয়ে যাবার পর কর্মীদের লাশ পাওয়া যাচ্ছে, আর পুলিশ বলছে ক্রসফায়ার কিংবা বন্দুকযুদ্ধে মারা যাচ্ছে তারা।’
বহু পর্যবেক্ষকই আশঙ্কা করছেন যে, রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রাণহানির দিক থেকে চলতি বছরটি ২০১৩ সালকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে ।
নির্বাচনকেন্দ্রিক অস্থিরতার পাশাপাশি মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের রায়কে কেন্দ্র করে সহিংসতায় ২০১৩ সালে ৫০৭ জন মারা যান বলে জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র। এ সময় আহত হয়েছেন ২২ হাজার ৪০৭ জন।
প্রতিষ্ঠানটির হিসাবে, গত বছর শুধু নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতেই মারা যান ২১৫ জন।
চলতি বছর যেভাবে গুম, গুপ্তহত্যা ও ক্রসফারের নামে নির্বিচারে বিরোধী নেতাকর্মীদের হত্যাযজ্ঞ শুরু হয়েছে, তাতে সাংবাদিক নজরুল ইসলামের মতো দেশের বেশিরভাগ মানুষের আশঙ্কা—আরও একটি ভয়ঙ্কর বছরে নিক্ষিপ্ত হয়েছে বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ।
নজরুল ইসলাম আক্ষেপ করে বলেন, ‘কাউকে ঘর থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে রাতে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করা হয়। আবার কাউকে মা-বাবা কিংবা আদরের সন্তানের সামনে থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়। এসব নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের খবর পড়তেই বুকটা হাহাকার করে ওঠে।’
ব্যক্তিগত জীবনে উদারপন্থী এই তরুণ সাংবাদিক কথা বলতে বলতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। স্বগতোক্তির আদলেই তিনি প্রশ্ন করেন : যারা ঠাণ্ডা মাথায় এভাবে মানুষ হত্যা করতে পারে, তারা কী মানুষ?
কিন্তু গত ক’দিন ধরে অফিসে ঢুকে প্রতিদিনই উদ্বেগ-উত্কণ্ঠা নিয়ে তিনি কম্পিউটার অন করেন। প্রায় প্রতিদিনই দেখা যায় নিজস্ব সূত্র এবং সহযোগী অন্যান্য গণমাধ্যমের অনলাইনে চোখ বোলাতেই ভেসে ওঠে একাধিক বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের খবর। নিরাপত্তা বাহিনী যাকে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বা ‘ক্রসফায়ার’ বলে দাবি করে থাকে।
আমার দেশকে নজরুল ইসলাম (ছদ্মনাম) বলেন, ‘ভাই, ভয়ে ভয়ে কম্পিউটার খুলি। মধ্যরাতের পর টিভিও দেখার সময় হয় না, ইন্টারনেটেও আপডেট জানার সুযোগ হয় না। তাই আশঙ্কায় থাকি—না জানি রাতে কয়জন কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।’
নজরুল ইসলামের আশঙ্কা প্রায় প্রতিদিনই সত্যে পরিণত হয়। এখন প্রায় প্রতিদিনই দু’চারজন ক্রসফায়ারের নামে নির্বিচারে হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছেন।
নজরুল ইসলামের নিজের অন্তত কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার আশঙ্কা নেই। কিন্তু যারা বিরোধী দলের স্থানীয় বা মধ্যমসারির নেতা, আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী আন্দোলনে যারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, প্রতি মুহূর্তে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির আশঙ্কা তাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।
সরকারি বাহিনী দ্বারা গুম এবং এরপর প্রায় অনিবার্য পরিণতি গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় বা ডোবায় লাশ পড়ে থাকার আশঙ্কায় আছেন তারা।
বস্তুত ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। চারদিকে এখন ‘গুম’ আর ‘ক্রসফায়ার’ আতঙ্ক।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আগে মোটামুটি একটি ভরসা ছিল যে, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে না নামলে অন্তত নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি খেয়ে মরতে হবে না। এখন আর সে অবস্থা নেই। এখন কৃষিক্ষেত থেকে, বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়ে মধ্যরাতে কথিত ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধের নামে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে।
মানবাধিকার সংগঠন এবং রাজনৈতিক নেতারা বলছেন, ক্রসফায়ারের নামে ঠাণ্ডা মাথায় বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের হত্যা করছে সরকারি বাহিনী।
আমার দেশ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে জানুয়ারি মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় অন্তত ৭১ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে বিএনপি ও জামায়াতের ৫০ নেতাকর্মী হয় নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতেই কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন অথবা গ্রেফতারের পর লাশ পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জানুয়ারি মাসে সারাদেশে ৫৬৮টি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১৮ জনের বেশি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এ সময় গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন ৬৫ জন।
সম্প্রতি এক বিবৃতিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, ‘বাংলাদেশে আমরা ক্রসফায়ারের নামে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হত্যার ভয়াবহ নমুনা দেখছি।’
গত ২২ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সরকার সরাসরি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়েছে। সাতক্ষীরা, চাঁদপুর, উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকবলিত। এসব জায়গা দেখে মনে পড়ে পাক হানাদারদের নৃশংসতার ঘটনা।’
তিনি বলেন, ‘দলীয় হিসাবে গত তিন মাসে সারাদেশে ২২৭ জন নিহত ও গুম হয়েছে ১৮৭ জন। আর জোটগত হিসাবে ১৮ দলসহ নিহতের এ সংখ্যা ২৯৪ জন।’
গত রোববার এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ বলেন, গত ৪৩ দিনে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের ৫৯ নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে ঠাণ্ডা মাথায় জামায়াত ও ছাত্রশিবির নেতাদের একে একে গুলি করে হত্যা করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল প্রকাশিত এক নিবন্ধে বিশিষ্ট সাংবাদিক সিরাজুর রহমান লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ এখন সত্তরের দশকের কম্বোডিয়ার মতো একটা কিলিং ফিল্ডে পরিণত হয়েছে। .... ৫ জানুয়ারির পর থেকে প্রায় দিনই দু’চারটি গলাকাটা লাশ পাওয়া যাচ্ছে, বন্দুক-যুদ্ধের মিথ্যা অপবাদে বিএনপি এবং জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। পুলিশ-র্যাব ধরে নিয়ে যাবার পর কর্মীদের লাশ পাওয়া যাচ্ছে, আর পুলিশ বলছে ক্রসফায়ার কিংবা বন্দুকযুদ্ধে মারা যাচ্ছে তারা।’
বহু পর্যবেক্ষকই আশঙ্কা করছেন যে, রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রাণহানির দিক থেকে চলতি বছরটি ২০১৩ সালকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে ।
নির্বাচনকেন্দ্রিক অস্থিরতার পাশাপাশি মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের রায়কে কেন্দ্র করে সহিংসতায় ২০১৩ সালে ৫০৭ জন মারা যান বলে জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র। এ সময় আহত হয়েছেন ২২ হাজার ৪০৭ জন।
প্রতিষ্ঠানটির হিসাবে, গত বছর শুধু নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতেই মারা যান ২১৫ জন।
চলতি বছর যেভাবে গুম, গুপ্তহত্যা ও ক্রসফারের নামে নির্বিচারে বিরোধী নেতাকর্মীদের হত্যাযজ্ঞ শুরু হয়েছে, তাতে সাংবাদিক নজরুল ইসলামের মতো দেশের বেশিরভাগ মানুষের আশঙ্কা—আরও একটি ভয়ঙ্কর বছরে নিক্ষিপ্ত হয়েছে বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ।
নজরুল ইসলাম আক্ষেপ করে বলেন, ‘কাউকে ঘর থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে রাতে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করা হয়। আবার কাউকে মা-বাবা কিংবা আদরের সন্তানের সামনে থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়। এসব নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের খবর পড়তেই বুকটা হাহাকার করে ওঠে।’
ব্যক্তিগত জীবনে উদারপন্থী এই তরুণ সাংবাদিক কথা বলতে বলতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। স্বগতোক্তির আদলেই তিনি প্রশ্ন করেন : যারা ঠাণ্ডা মাথায় এভাবে মানুষ হত্যা করতে পারে, তারা কী মানুষ?
Comments
Post a Comment