বন্দুকযুদ্ধ ও মৃত্যুদণ্ড নিয়ে কিছু কথা

ড. ফেরদৌস আহমদ কোরেশী

বন্দুকযুদ্ধ ও মৃত্যুদণ্ড নিয়ে কিছু কথা

30 Jan, 2014
“The state calls its own violence law,
but that of the individual crime.''
-Max Stirner
‘বন্দুকযুদ্ধে’র নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন মানবাধিকার আন্দোলনকারীরা। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে এই ‘সাজানো নাটক’ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে ‘আইন ও সালিশ কেন্দ্রে’র নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল বলেছেন, ‘সমাজে যারা হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ এবং বিশেষ করে সাম্প্র্রদায়িক হামলার সঙ্গে যুক্ত তাদের অবশ্যই দ্রুত বিচারের মাধ্যমে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তবে একজন ব্যক্তি সে যত বড় সন্ত্রাসী অথবা গুরুতর অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকুক না কেন, বিচারবহির্ভূতভাবে কোনো শাস্তি তার প্রাপ্য হতে পারে না।’ (যুগান্তর, ২৮ জানুয়ারি, ২০১৪)।

লক্ষ্য করার বিষয় প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোথায়ও না কোথায়ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের সময় অপরাধীদের গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার খবর প্রকাশিত হচ্ছে। প্রায় সব ক্ষেত্রেই বলা হয়, গ্রেফতার হওয়ার পর অপরাধী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, অথবা তার সঙ্গীরা তাকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য সশস্ত্র হামলা চালায়, তখন তাদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গোলাগুলিতে ‘ক্রসফায়ারে’ অপরাধী মারা যায়।
এই গৎবাঁধা কাহিনী এখন আর ধোপে টিকছে না। সবাই বুঝতে পারছেন যে, এসব ঘটনা সাজানো নাটক। এটা ঠিক যে, অনেক ক্ষেত্রেই নিহত ব্যক্তিরা তালিকাভুক্ত পলাতক আসামি কিংবা দুর্ধর্ষ অপরাধী। তাদের পেছনে থাকে শক্ত খুঁটি, তাই সাধারণ আইনি প্রক্রিয়ায় তাদের দমন করা দুরূহ। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিতরা এই অজুহাতের আশ্রয় নিয়ে সহজ পন্থায় ‘দুষ্টের দমন’ করে আত্মপ্রসাদ লাভ করতে চান। ‘End justifies the means’ যুক্তিতে তারা আইনি ব্যবস্থা পাশ কাটিয়ে নিজেরাই বিচারের রায় দিয়ে বসছেন।

আইনের শাসনের মূলভিত্তিতে রয়েছে একটি অলঙ্ঘণীয় সুপ্রাচীন নীতি : অপরাধী যদি ছাড়া পেয়ে যায় যাক, কিন্তু একজন নিরপরাধ ব্যক্তিও যেন সাজা না পায়। ('Rather let the crime of the guilty go unpunished than condemn the innocent.' - Justinian -I, Law code,A.D.535 ).
আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের উদ্দেশ্য বা আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন না তুলেও বলা যায়, এভাবে আইনকে পাশ কাটিয়ে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাই যদি সরাসরি বিচারকের আসনে বসে পড়ে, তাহলে আইনের শাসন বলতে আর কিছুই থাকে না। জানা যায়, এ মাসের (জানুয়ারি) ১ থেকে ২৭ তারিখের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ১৫ জনের মৃত্যু ঘটেছে, যা জনমনে আতংক সৃষ্টি করেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আসলেই অপরাধী কি-না, অপরাধী হলেও কতটুকু অপরাধী, তার অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড যথাযথ কি-না ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। কারণ এ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত বা দলীয় শত্র“তার কারণে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার সুযোগ অবারিত থাকে।

২.
'It is well nigh obvious that those who are in favor of death penalty have more affinities with the murderers than those who oppose it.'
Remy de Gourmont.
মৃত্যুদণ্ড নিয়ে কিছু কথা :
গত বছর সৌদি আরবে এক মিসরীয় নাগরিককে হত্যা করার অভিযোগে ৮ জন বাংলাদেশীর শিরোশ্ছেদ করা হয়। ঘটনাটি দেশের মানুষকে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছিল। সেই সঙ্গে বিশ্ব মুসলমানের দুই হারাম শরিফের রক্ষকদের বিচার প্রক্রিয়ার নীতিগত অবস্থানের বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে।
সৌদি আরবে ‘শরিয়া আইন’ অনুযায়ী চুরির জন্য হাত কাটা এবং হত্যাকাণ্ডের মতো গুরুতর অপরাধে প্রকাশ্য জনসমক্ষে শিরোñেদের বিধান রয়েছে। অতএব আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ওই ৮ জনকে অনুরূপ সাজা দেয়া বেআইনি হয়নি। কেউ হত্যাকাণ্ডের মতো গুরুতর অপরাধ করে থাকলে কেবল বাংলাদেশী বলে তা উপেক্ষা করা যাবে না।

তবে এক খুনের জন্য একত্রে আটজনের শিরোñেদ সৌদি আরবেও ইতিপূর্বে ঘটেছে বলে মনে হয় না। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টিও বিবেচ্য ছিল। অভিযুক্তরা সময় মতো প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা পেয়েছেন কি-না, নিহত মিসরীয় ব্যক্তিটির পরিবারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা বা সৌদি আইনে ‘রক্তপণ’ প্রদান করার যে সুযোগ আছে তা কাজে লাগানোর যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল কি-না, কিংবা এ ব্যাপারে মিসর সরকার বা মিসরের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় ওই পরিবারের সঙ্গে সমঝোতার জন্য পর্যাপ্ত প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল কি না, সেসব বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
তাছাড়া ‘শরিয়া আইন’ প্রশ্নে ইসলামী শাস্ত্রবিদদের সবার অবস্থান অভিন্ন নয়। বিভিন্ন মুসলিম দেশে তার প্রয়োগ বিভিন্নভাবে হয়ে থাকে। সৌদি আরবসহ আরও কয়েকটি মুসলিম দেশে বিচারিক প্রক্রিয়াতেও শরিয়া আইন ব্যবহার করা হলেও অধিকাংশ মুসলিম দেশে তার ব্যবহার মূলত পারিবারিক, সামাজিক ও ব্যক্তিগত আচরণের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ।

সৌদি সরকারের বক্তব্য ‘আল্লাহর আইন’-এর ব্যতিক্রম করার ক্ষমতা রাষ্ট্রের নেই। ভালো কথা। আল্লাহর আইন শিরোধার্য। কিন্তু মনে রাখতে হবে, রাষ্ট্রের আইন হোক আর আল্লাহর আইন হোক তার বাস্তবায়ন মানুষকেই করতে হয়। মানুষই বিচার করে। মানুষের বিচার বহু ক্ষেত্রেই পরবর্তী সময়ে ভুল প্রমাণিত হয়। বহু ক্ষেত্রেই নিম্ন আদালতের রায় উচ্চ আদালতে বাতিল বা পরিবর্তিত হতে দেখা যায়। এমনও দেখা যায়, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়ে যাওয়ার বহু বছর পর প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, আসলে ভুল ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে অথবা দণ্ডাদেশটি সঠিক হয়নি। সে ক্ষেত্রে একে ‘বিচারিক হত্যাকাণ্ড’ বলতে হয়।
বিচারিক প্রক্রিয়ায় আইনের আওতায় একজনের মানুষের প্রাণ সংহার করা হলে সমাজ তা নীরবে মেনে নেয়। কিন্তু বিচার ভুল প্রমাণিত হলে নিহত ব্যক্তিটিকে ফিরিয়ে আনার কোনো সুযোগ থাকে না। গত বছরেই সংবাদপত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে এরকম একটি মামলার খবর বের হয়েছিল। ২শ’ বছর আগে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত এক ব্যক্তির অধঃস্তন পুরুষদের একজন আদালতে মামলা দায়ের করে বলেন, তার ওই পূর্বপুরুষকে অন্যায়ভাবে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল। যে অপরাধের দায়ে তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয় তার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক ছিল না, তার প্রমাণ তিনি হাতে পেয়েছেন। তিনি এ ব্যাপারে আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করেন, কারণ পূর্বপুরুষের নামে ওই কলংকের বোঝা বংশানুক্রমে তাদের বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। এ জন্য তিনি সংক্ষুব্ধ। তিনি এবং তার পরিবার এই কলংকের বোঝা থেকে মুক্তি পেতে চান। আদালত বিশেষ বিবেচনায় মামলাটি গ্রহণ করেন। বিচারে প্রমাণিত হয় যে, ওই হতভাগ্য ব্যক্তিটি আসলেই নির্দোষ ছিলেন। তাকে জীবন ফিরিয়ে দেয়ার কোনো সুযোগ না থাকলেও আদালত তাকে নির্দোষ ঘোষণা করেন। তার সংক্ষুব্ধ বংশধরেরা এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন।
এ কারণেই আজকের পৃথিবীতে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে জনমত প্রবল। পৃথিবীর ১৪৩টি দেশ তার দণ্ডবিধি থেকে মৃত্যুদণ্ড ইতিমধ্যেই তুলে দিয়েছে। আরও অনেক দেশ সেদিকে অগ্রসর হচ্ছে। আমাদের প্রচলিত দণ্ডবিধি বা ‘পেনাল কোড’ ব্রিটিশ শাসকদের তৈরি। এখন খোদ ব্রিটেনও তার দণ্ডবিধি থেকে মৃত্যুদণ্ড তুলে দিয়েছে।
একজন মানুষ নানা কারণে হত্যাকাণ্ডের মতো জঘন্য অপরাধেও জড়িয়ে পড়তে পারে। অনেক সময় রাগের বশবর্তী হয়ে বা লোভের শিকার হয়ে মানুষ হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ে এসব অপরাধ সংঘটিত করে। অপরাধ করার পর অনেকে অনুতপ্ত হয়। কিন্তু মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে কাউকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিলে তার প্রায়শ্চিত্ত করারও আর কোনো সুযোগ থাকে না।

৩.
“If we desire respect for the law, we must first make the law respectable' ~ Louis D. Branders :
যুুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধের ক্ষেত্রেও সঠিকভাবে আইন প্রণয়ন এবং সেই আইনের সঠিক ও যথাযথ প্রয়োগের দিতে লক্ষ্য রাখা জরুরি। এ ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি জড়িত থাকে বিধায় অতিরিক্ত সতর্কতা প্রয়োজন। যাতে করে প্রতিপক্ষ ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির সুযোগ না পায়।
১৯৭১ সালে তখনকার পাকিস্তান সরকার এ দেশে যে নির্মম ও নৃশংস গণহত্যা চালিয়েছে, ইতিহাসে তার দৃষ্টান্ত আর একটিও নেই। সেই গণহত্যায় এ দেশেরই কিছু মানুষ সেদিন পাকিস্তানি সামরিক জান্তার সহযোগী হিসেবে ন্যক্কারজনক ভূমিকায় থেকেছে। এদের অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরই তাদের বিচারের সম্মুখীন করা রাষ্ট্রের কর্তব্য ছিল। কিন্তু সেদিনের সরকার নানা বাস্তব সীমাবদ্ধতার কারণে তা’ করতে পারেনি। এতদিন পরে সেই কাজটি করতে গিয়ে স্বভাবতঃই আজকের সরকারকে নানা সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তখন সাক্ষ্য-প্রমাণগুলো তরতাজা ছিল। যথাযথরূপে বিচার সম্পন্ন করা সহজ ছিল। এখন মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী এবং বিচারকবৃন্দকে পদে পদে হোঁচট খেতে হচ্ছে। বিচারকার্য নিয়ে নানা প্রশ্নের উদ্ভব ঘটছে। নানা রাজনৈতিক প্রশ্ন উঠে আসছে।

এদিকে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও আমূল পাল্টে গেছে। ১৯৭১-এর আগে-পরে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে পাকিস্তান সরকারের নানা দূরভিসন্ধি সত্ত্বেও সেদিনের আওয়ামী লীগ এককভাবে ৭২% ভোট পেয়েছিল। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালের সংসদ নির্বাচনেও সেই ধারা অব্যাহত ছিল। কিন্তু বিগত কয়েকটি নির্বাচনের ফলাফলদৃষ্টে দেখা যায়, সেই আওয়ামী লীগের দলগত ভোট এখন ৩০-৩২%-এ চলে এসেছে। এবারকার একদলীয় নির্বাচনে তা’ আরও কম হয়েছে বলে পর্যক্ষেকরা বলছেন। তাহলে দেখা যাচ্ছে, স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন জনসমর্থনের একটি বড় অংশ ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের হাতছাড়া হয়েছে। এই বাস্তবতা মনে রেখেই বর্তমান শাসক দলকে তাদের কাজের ধরন স্থির করতে হবে।

আর সেজন্যই, যুদ্ধাপরাধী বা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকার্য আইনানুগভাবে এবং দ্রুত সম্পন্ন করে বিষয়টির যথাশিগগিরই নিষ্পত্তি জরুরি। কেননা এই পুরনো ক্ষত আমাদের জাতিদেহে নতুন করে অনেক দুষ্টক্ষত তৈরি করছে।
৪.
শেষ কথা : ‘ক্রস ফায়ার’ যেন বুমেরাং না হয় :
তথাকথিত ‘বন্দুকযুদ্ধ’ ক্ষমতাসীনদের জন্যও বিপদ ডেকে আনতে পারে। দেশের জন্যও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।
বিরুদ্ধপক্ষকে ছলে-বলে কোণঠাসা করে জোর-জবরদস্তির পরিণতি কোথায়ও ভালো হয়নি। প্রতিপক্ষ বেকায়দায় থাকলেও তার পিঠ দেয়ালে ঠেকিয়ে দেয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তখন পোষা খরগোসও বনের বাঘের মতো ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে।

সে পথেই পাকিস্তানের ভাঙ্গন এসেছে। পাকিস্তানের শাসকরা যদি যথারীতি গণতন্ত্রের চর্চা করত, যদি রাষ্ট্রের সব ক্ষমতা ও সম্পদ এক অঞ্চলে পুঞ্জিভূত না করে সব অঞ্চলের প্রতি সুবিচার করা হতো, তাহলে ওই দেশটি এত অল্পদিনে এভাবে টুকরা হয়ে যেত না। আজ তার অবশিষ্ট অংশেও ভাঙ্গনের আওয়াজ। কারণ পাকিস্তানি শাসকরা ইতিহাস থেকে কোনো শিক্ষা নেয়নি।
রাজনৈতিক ক্ষোভ সন্ত্রাস উসকে দেয়। সন্ত্রাস থেকে জঙ্গিবাদ, জঙ্গিবাদ থেকে ভয়ংকর সব নাশকতা। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যা নিত্যদিন ঘটছে। ছড়িয়ে পড়ছে পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলেও।
আমাদের পরিস্থিতি ভিন্ন। এখানে ভৌগোলিক, আঞ্চলিক বা জাতিগত সংঘাত নেই। কিন্তু রাজনৈতিক বিভাজন তার চেয়ে কম সংকটময় নয়। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সবাই আমাদের বন্ধু নয়। সেখানে শকুনেরও অভাব নেই।
সে জন্যই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাব। ‘ক্রস ফায়ার’ যেন বুমেরাং না হয়।
ড. ফেরদৌস আহমদ কোরেশী : রাজনীতিক, ভূরাজনীতি ও উন্নয়ন গবেষক।

(যুগান্তর, ৩০/০১/২০১৪)

Comments