এক মিথথা বাদী রাখল

আমাদের সামনে এখন আর কোনো পথ নেই।
এই নিবিড় অরন্য এমনি নিরন্ধ্র যে, ঝিঝির শিসকেও
কেওড়ার কাটায় বিদ্ধ প্রজাপতির ঝাপটানি বলে ভুল হয়।
আমরা যে ওচ্ছন্নে যাওয়া উপত্যকা থেকে এসেছি
সেখানে  বাস করত একমিথথা বাদী রাখল। ছোকরা
কেন যে, দিনরাত বাঘ বাঘ বলে চেচাট আল্লা মালুম।
তারপর  সত্তি একদিন বাঘ এসে সব খেয়ে ফেলল।  প্রথম
সেই ছেলেটাকে , শেষে নখ আর দাত দিয়ে অচরে ফেলল
মানুষের গ্রাম। ঘরবাড়ি , রক্ত,  মাংস।
আমরা এখন কোথায় যাই ? আমরা তো 
সেই মিথথা বাদীর খুলির উপর   রোদ চমকাতে দেখে এসেছি । আর
দেখেছি  সকল সত্তবাদিদের পঙ্গপালের মত পালাতে।
য পলায়তি স জীবতি। পলায়নি যে সেতো এখন বাঘের পেটে ।


মাঝে মাঝে ভাবি , ছেলেটা কেন এমন বাঘ বাঘ বলে চেচাতো ?
আমরা ভয়ে চরদিকে ছুটে গিয়ে হাপাতে  হাপতে
বলতাম , শুয়ারের বাচ্চা । সে বোকার মতো হাসতো। তারপর
আমরা প্রতিজ্ঞা করলাম , তার ডাকে আমরা আর সারা দেবোনা।

আমরা কেউ তার শেষ ডাকে সাড়া দেইনি  যেদিন সততী এসেছিল বাঘ ।
সেই কাতর অনুনয় এখনো আমার কানে লেগে আছে ।আজ ভাবি ,
ছেলেটার কী তবে আগাম মৃত্তুর ঘন্ধ টের পাওয়ার কোনও
আসসাভাবিক ইনদ্রীয় ছিল? যার দুর্ঘন্ধে শত তিরস্কার উপেক্ষা করে
সে চিত্কার কোরে বলে উঠত  বাঘ বাঘ , ঠিক কবির মতো ।আহ
আবার যদি ফিরে আসতো  সেই  ছেলেটা , আর বলে উঠত ...মৃততো
এসেছে , হে গ্রাম বসি , হুশিয়ার "
আল  মাহমুদ

Comments

Post a Comment