ভিন্নমত আলেম ওলামাদের
চেয়ারে বসে নামাজ আদায়ের ব্যাপারে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ঘোষিত ফতোয়া নিয়ে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন আলেম ওলামারা। তারা বলেন, এ ধরনের ফতোয়া দেয়ার এখতিয়ার ফাউন্ডেশনের নেই। তা ছাড়া হঠাৎ এই ধরনের ফতোয়া জারির বিষয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। চট্টগ্রামের হাটহাজারী দারুল উলুম মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা আহমদ শফী, এই প্রতিষ্ঠানের প্রবীণ শিক্ষক হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীসহ দেশের অনেক শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করেন। বাবু নগরীর খাদেম রাকিব আল হাসান গতকাল মানবজমিনকে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, যারা বয়সের ভারে ন্যুয়ে পড়েছেন, অথবা কোমর বা পায়ে ব্যথার কারণে দাঁড়াতে পারেন না মসজিদের ফ্লোরে বসার মতো শক্তি যাদের নেই, তারাই চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করেন। সুতরাং কোরআন-হাদিস সম্পর্কে যাদের সীমিত জ্ঞান তারাই এ ধরেনর ফতোয়া দিতে পারেন। রাকিব হাসান বলেন, আমার দেখা এবং জানা মতে, দেশের অনেক বড় বড় মুফতিরা চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করেন। এটা নাজায়েজ হলে নিশ্চয় তারা সেটা করতেন না। ইসলামী ঐক্যজোটের চোরম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী বলেন, এসব ফতোয়া দেয়ার এখতিয়ার মুফতিদের। কিন্তু ইসলামিক ফাউন্ডেশন হঠাৎ এই ফতোয়া নিয়ে আসলো কেন বোধগম্য নয়। তিনি বলেন, আমার জানা মতে এই ফতোয়া সঠিক নয়। এটা নিয়ে সমাজে বিতর্ক সৃষ্টি হবে। বিশৃঙ্খলাও দেখা দিতে পারে। আলেম সমাজের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা না করে এ ধরনের ফতোয়া দেয়া ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি। মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক এ প্রসঙ্গে বলেন, অসুস্থতা থাকলে কেউ চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করতে পারবেন। এতে বাধা নেই। বহুদেশে অসুস্থতার কারণে মুসলিমরা এভাবে নামাজ পড়েন। মুফতি মো. ওয়াক্কাস বলেন, ঢালাওভাবে এভাবে ফতোয়া দেয়া ঠিক নয়। যথাযথ কারণে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কেউ চেয়ারে বসে নামাজ পড়তে পারবেন।
Comments
Post a Comment