অবরোধ ঠেলে ৩০ হাজার মানুষ যেই নেতার পুত্রের বিয়েতে উপস্থিত হন সেই নেতারা ঘাপটি মেরে আছেন কেন!
আরাফাত রহমান কোকোর অকাল ইন্তেকাল রাজনৈতিক আলোচনাকে একটু ভিন্নমাত্রা দিয়েছে। জানাযায় লাখো মানুষের উপস্থিতি বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি জনসমর্থনের কিছুটা হলেও ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এই উপস্থিতি দেখে ভোটার বিহীন নির্বাচনের নামে ক্ষমতা দখলে রাখা সরকারও নিশ্চয়ই সিগন্যাল পেয়ে গেছে। সে কারনেই হয়ত: প্রহসনের নির্বাচনের নামে গঠিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ বাহিনীকে আরো কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশের কর্তাদের নির্ভয় দিয়ে বলেছেন, যে কোন পদক্ষেপের দায় নেবেন তিনি। কতটা ভিত হলে এমন নির্দেশ দিতে পারেন সেটা বিশ্লেষণের দায়িত্ব হচ্ছে মনোবিজ্ঞানীদের। মনোবিজ্ঞানীরাই বলতে পারবেন কোন পরিস্থিতিতে মানুষ কেমন আচরণ করেন। তবে পুলিশ বাহিনীর কর্তা ব্যক্তিদের প্রতি শেখ হাসিনার এই হুকুমে একজন সাধারণ মানুষ হিসাবে আমার মনে হয়েছে তিনি বিচলিত। নতুবা এমনটা বলতেন না। যে কোন পদক্ষেপের দায় নেয়ার কথা তিনি বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায় অবশ্য-ই একদিন নিতে হবে। দেনার বোঝা প্রতিদিন বাড়ছে। প্রতিদিন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের নেতা-কর্মীদের ধরে নিয়ে খুন করছে, গুম করছে। এর দায় তাঁর উপরই বর্তাবে একদিন।
১৯৭১ সালের গণহত্যা, নারী ধর্ষনের অভিযোগের খন্ডিত ‘বিচার’ ৪০ বছর পর মানুষ দেখছে। খন্ডিত বললাম এই কারনে, মূল চিহ্নিত ১৯৫জন যুদ্ধাপরাধীকে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল শেখ মুজিবের জামানায়। এখন ১৯৫ জনের সহযোগির বিচার হচ্ছে। বর্তমান গণহত্যা, গুম, খুনের বিচারও একদিন কেউ না কেউ করবে। লগি-বৈঠা দিয়ে প্রকাশ্যে রাজপথে পিটিয়ে মানুষ খুনের বিচারও একদিন হবে। লগি-বৈঠা নিয়ে রাস্তায় নামার হুকুম প্রকাশ্যে জনসভায় কে দিয়েছিল সেটা সবাই জানেন। এর জন্য হয়ত: সাক্ষী খুজতে হবে না। টেলিভিশন গুলোর ফুটেজই যথেষ্ট। দরকার শুধু একটি সঠিক ইনসাফ ও ন্যায়নিষ্ঠ বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
সিনিয়র রাজনীতিক ও মন্ত্রী তোফায়েল আহমদের বক্তব্যে আরেকটু হতাশার চিত্র ফুটে উঠেছে। তিনি বলেছেন আন্দোলনের নামে ‘নাশকতায়’ আল্লহার আরশ কেপে উঠেছে। তিনি যে এতবড় একজন পীর-দরবেশ আগে জানা ছিল না। নতুন করে তাঁর কেরামতির জানান দিয়েছেন গত বুধবার। নাশকতা কারা ঘটিয়েছেন সেই খবরের পাশাপাশি তিনি আল্লাহর আরশের খবরও রাখেন। এর মাধ্যমে জানান দিয়েছেন তিনি শুধু রাজীতিক নন, একজন দরবেশও বটে। আল্লাহর আরশের খবর নিশ্চয়ই রাখেন। নতুবা একজন সিনিয়র রাজনীতিক হয়ে এমনটা বলতেন না। অথবা তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পুত্রের অকাল ইন্তেকাল নিয়ে ঠাট্রা বিদ্রুপ করছেন। উপহাস করছেন পুত্রশোকে কাতর একজন মা-এর সাথে। আল্লাহর আরশের খবর নিশ্চিত না হয়ে বলে থাকলে, এটা কেবল তোফায়েল আহমদের মত রাজনীতিকদের বেলায়-ই মানায়। অন্য কারো সাথে এটা মানায় না।
মানুষ যখন নিজের উপর কনফিডেন্স হারিয়ে ফেলে, তখনই নানা দোষ চাপাতে থাকেন। তোফায়েল আহমদের বেলায় এটা ঘটেছে কি না দেশের মানুষ হয়ত: অনুমান করতে পারছেন। বিএনপি নেতাদের একটি অংশকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘরে বসিয়ে দেয়া সম্ভব। কিন্তু এই মানুষ ঠেকাবে কেমন করে। কারন কোকোর জানাযায় সেই ইঙ্গিত-ই দিয়েছে। কোন একটি সুযোগে এই জনসমর্থন রাজপথে নেমে আসলে আর ঠেকানো যাবে না। জনশ্রোত যে কোন মূহুর্তে রাজপথ দখলে নিতে পারে। অবরোধে দূর পাল্লার গাড়ি বন্ধ। শুধু ঢাকা শহর থেকেই এত মানুষের শ্রোত একটি কফিনকে ঘিরে। আল্লাহর আরশ কেপেছে নাকি এই জনশ্রোত দেখে তোফায়েল সাহেবদের অন্তর কেপে উঠেছে!
এদিকে আরাফত রহমান কোকোর জানাযায় উপস্থিতি নিয়ে নানা মূল্যায়ন চলছে। খোদ আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল হাজারির মূল্যায়নে বলা হয়েছে বিরোধী জোটের প্রতি নীরব সমর্থনের সিগন্যাল হচ্ছে এই উপস্থিতি। তাঁর নিজের পত্রিকা হাজারিকা প্রতিদিনে তিনি এক নিবন্ধে এ মূল্যায়ন করেছেন। এই নীরব জনসমর্থনকে নেতৃত্ব দিয়ে রাজপথে নিয়ে আসতে পারলেই হল। অথবা নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার সুযোগ পেলেই তারা নীরব বিপ্লব ঘটিয়ে দিবে। যেমনটা দেখা গেছিল ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনে।
চলমান আন্দোলনে এই জনগন রাস্তায় নামছে না কেন এনিয়ে বিশ্লেষণ হতে পারে। শুধু কি পুলিশের গুলি, গুম, খুনের ভয়? নাকি এর পেছনে অন্য কোন কারন রয়েছে এটা বের করার দায়িত্ব হচ্ছে বিএনপির যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের। অবরোধ চলাকালেই বিএনপি’র একজন যুগ্ম মহাসচিবের ছেলের বিয়ের খবর প্রচারিত হয়েছে। এই বিয়েতে আপ্যায়িত হয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। অবরোধ ঠেলে ৩০ হাজার মানুষ যেই নেতার পুত্রের বিয়েতে উপস্থিত হন সেই নেতারা ঘাপটি মেরে আছেন কেন! এই নিয়েও হতে পারে রাজনৈতিক গবেষণা। যাদের দাওয়াতে অবরোধ ঠেলে ৩০ হাজার মানুষ উপস্থিত হয়, তাদের ডাকে অন্তত: ৫ হাজার মানুষতো রাজপথে সঙ্গে নামবে। এই ৫হাজার মানুষ নিয়েই রাজপথে নামলে পারেন। নামছেন না কেন তারা! গুলির ভয়, গোপন সমঝোতা, নাকি সম্পদ রক্ষার তাগিদ! কোনটা সঠিক উত্তর তারাই ভাল বলতে পারবেন।
নেতৃত্ব শূন্য রাজপথে নীরব সমর্থক মানুষ গুলো নামবে কোথায়! কার পেছনে নামবে তারা! বায়তুল মোকাররমে নীরব সমর্থক মানুষের উপস্থিতি ছিল একটি কফিনকে ঘিরে। রাজপথেও মানুষ নামে নেতাকে ঘিরে। আগামী দিনে যেই নেতা তাঁর আসনে এমপি হবেন, বিপদে-আপদে যাকে কাছে পাবেন তাঁর পেছনেই মানুষ নামে। যারা অতীতে এমপি হয়েছেন, ভবিষ্যতেও মনোনয়ন বোর্ডে সামনের কাতারে হাজির থাকবেন সেই নেতারাও উপস্থিত নেই কেন! তারা রাজপথে সামনের কাতারে নেই কেন! তাদের চামচারাই বা কোথায়। চামচাদের কারনেতো সাধারণ সমর্থকরা কাছে ভীরতে পারেন না। মন্ত্রি-এমপিদের কাছে ভীরতে হলে তিন স্তরের চামচাকে অতিক্রম করতে হয়। শুনতে হয় নানা কটুবাক্য। এখন চামচারাই বা কোথায়! চামাচা পরিবেষ্টিত রাজনীতিক দিয়ে তোষামোদী পাওয়া যায়। টাকা কামানো যায়। তবে গণআন্দোলন হয় না। এরই একটা নমুনা দেখা গেছে কোকোর জানাযায়। এখানে আসতে কোন চামচার দরকার হয়নি। সরাসরি কফিনের পেছনে কাতারে নামাজে দাড়িয়েছে। এই নামাজে শরীক হতে চামচার স্তর অতিক্রম করতে হয়নি তাদের। সাধারণ কর্মী সমর্থকরাও চামচাবিহীন নেতৃত্ব চায়।
অতীতে যারা মনোনয়ন পেয়েছিলেন তাদের ঘিরেই তো নিজ নিজ এলাকায় রাজপথে মানুষ নামার কথা। বিএনপি’র অতীতে যারা মনোনয়ন পেয়েছিলেন তাদেরই তো নিজ নিজ এলকা গোছানোর দায়িত্ব রয়েছে। দলের একটি নীতিও এমন যতটুকু জানা গেছে। তারাই তো নিজর নিজ এলাকায় বেগম খালেদা জিয়ার প্রতিনিধি। কারন নিজ নিজ এলকায় মানুষ তাদেরই বেশি চেনেন। তারাই বেগম খালেদা জিয়ার পতাকা বহন করেন। নির্বাচনের সময় জনসভায় বেগম খালেদা জিয়া তাদের হাতেই ধানের শীষ তুলে দিয়ে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান। সুতরাং তাদেরই তো আগে নামতে হবে।
লেখক: দৈনিক আমার দেশ-এর বিশেষ প্রতিনিধি, বর্তমানে যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত।
১৯৭১ সালের গণহত্যা, নারী ধর্ষনের অভিযোগের খন্ডিত ‘বিচার’ ৪০ বছর পর মানুষ দেখছে। খন্ডিত বললাম এই কারনে, মূল চিহ্নিত ১৯৫জন যুদ্ধাপরাধীকে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল শেখ মুজিবের জামানায়। এখন ১৯৫ জনের সহযোগির বিচার হচ্ছে। বর্তমান গণহত্যা, গুম, খুনের বিচারও একদিন কেউ না কেউ করবে। লগি-বৈঠা দিয়ে প্রকাশ্যে রাজপথে পিটিয়ে মানুষ খুনের বিচারও একদিন হবে। লগি-বৈঠা নিয়ে রাস্তায় নামার হুকুম প্রকাশ্যে জনসভায় কে দিয়েছিল সেটা সবাই জানেন। এর জন্য হয়ত: সাক্ষী খুজতে হবে না। টেলিভিশন গুলোর ফুটেজই যথেষ্ট। দরকার শুধু একটি সঠিক ইনসাফ ও ন্যায়নিষ্ঠ বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
সিনিয়র রাজনীতিক ও মন্ত্রী তোফায়েল আহমদের বক্তব্যে আরেকটু হতাশার চিত্র ফুটে উঠেছে। তিনি বলেছেন আন্দোলনের নামে ‘নাশকতায়’ আল্লহার আরশ কেপে উঠেছে। তিনি যে এতবড় একজন পীর-দরবেশ আগে জানা ছিল না। নতুন করে তাঁর কেরামতির জানান দিয়েছেন গত বুধবার। নাশকতা কারা ঘটিয়েছেন সেই খবরের পাশাপাশি তিনি আল্লাহর আরশের খবরও রাখেন। এর মাধ্যমে জানান দিয়েছেন তিনি শুধু রাজীতিক নন, একজন দরবেশও বটে। আল্লাহর আরশের খবর নিশ্চয়ই রাখেন। নতুবা একজন সিনিয়র রাজনীতিক হয়ে এমনটা বলতেন না। অথবা তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পুত্রের অকাল ইন্তেকাল নিয়ে ঠাট্রা বিদ্রুপ করছেন। উপহাস করছেন পুত্রশোকে কাতর একজন মা-এর সাথে। আল্লাহর আরশের খবর নিশ্চিত না হয়ে বলে থাকলে, এটা কেবল তোফায়েল আহমদের মত রাজনীতিকদের বেলায়-ই মানায়। অন্য কারো সাথে এটা মানায় না।
মানুষ যখন নিজের উপর কনফিডেন্স হারিয়ে ফেলে, তখনই নানা দোষ চাপাতে থাকেন। তোফায়েল আহমদের বেলায় এটা ঘটেছে কি না দেশের মানুষ হয়ত: অনুমান করতে পারছেন। বিএনপি নেতাদের একটি অংশকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘরে বসিয়ে দেয়া সম্ভব। কিন্তু এই মানুষ ঠেকাবে কেমন করে। কারন কোকোর জানাযায় সেই ইঙ্গিত-ই দিয়েছে। কোন একটি সুযোগে এই জনসমর্থন রাজপথে নেমে আসলে আর ঠেকানো যাবে না। জনশ্রোত যে কোন মূহুর্তে রাজপথ দখলে নিতে পারে। অবরোধে দূর পাল্লার গাড়ি বন্ধ। শুধু ঢাকা শহর থেকেই এত মানুষের শ্রোত একটি কফিনকে ঘিরে। আল্লাহর আরশ কেপেছে নাকি এই জনশ্রোত দেখে তোফায়েল সাহেবদের অন্তর কেপে উঠেছে!
এদিকে আরাফত রহমান কোকোর জানাযায় উপস্থিতি নিয়ে নানা মূল্যায়ন চলছে। খোদ আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল হাজারির মূল্যায়নে বলা হয়েছে বিরোধী জোটের প্রতি নীরব সমর্থনের সিগন্যাল হচ্ছে এই উপস্থিতি। তাঁর নিজের পত্রিকা হাজারিকা প্রতিদিনে তিনি এক নিবন্ধে এ মূল্যায়ন করেছেন। এই নীরব জনসমর্থনকে নেতৃত্ব দিয়ে রাজপথে নিয়ে আসতে পারলেই হল। অথবা নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার সুযোগ পেলেই তারা নীরব বিপ্লব ঘটিয়ে দিবে। যেমনটা দেখা গেছিল ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনে।
চলমান আন্দোলনে এই জনগন রাস্তায় নামছে না কেন এনিয়ে বিশ্লেষণ হতে পারে। শুধু কি পুলিশের গুলি, গুম, খুনের ভয়? নাকি এর পেছনে অন্য কোন কারন রয়েছে এটা বের করার দায়িত্ব হচ্ছে বিএনপির যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের। অবরোধ চলাকালেই বিএনপি’র একজন যুগ্ম মহাসচিবের ছেলের বিয়ের খবর প্রচারিত হয়েছে। এই বিয়েতে আপ্যায়িত হয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। অবরোধ ঠেলে ৩০ হাজার মানুষ যেই নেতার পুত্রের বিয়েতে উপস্থিত হন সেই নেতারা ঘাপটি মেরে আছেন কেন! এই নিয়েও হতে পারে রাজনৈতিক গবেষণা। যাদের দাওয়াতে অবরোধ ঠেলে ৩০ হাজার মানুষ উপস্থিত হয়, তাদের ডাকে অন্তত: ৫ হাজার মানুষতো রাজপথে সঙ্গে নামবে। এই ৫হাজার মানুষ নিয়েই রাজপথে নামলে পারেন। নামছেন না কেন তারা! গুলির ভয়, গোপন সমঝোতা, নাকি সম্পদ রক্ষার তাগিদ! কোনটা সঠিক উত্তর তারাই ভাল বলতে পারবেন।
নেতৃত্ব শূন্য রাজপথে নীরব সমর্থক মানুষ গুলো নামবে কোথায়! কার পেছনে নামবে তারা! বায়তুল মোকাররমে নীরব সমর্থক মানুষের উপস্থিতি ছিল একটি কফিনকে ঘিরে। রাজপথেও মানুষ নামে নেতাকে ঘিরে। আগামী দিনে যেই নেতা তাঁর আসনে এমপি হবেন, বিপদে-আপদে যাকে কাছে পাবেন তাঁর পেছনেই মানুষ নামে। যারা অতীতে এমপি হয়েছেন, ভবিষ্যতেও মনোনয়ন বোর্ডে সামনের কাতারে হাজির থাকবেন সেই নেতারাও উপস্থিত নেই কেন! তারা রাজপথে সামনের কাতারে নেই কেন! তাদের চামচারাই বা কোথায়। চামচাদের কারনেতো সাধারণ সমর্থকরা কাছে ভীরতে পারেন না। মন্ত্রি-এমপিদের কাছে ভীরতে হলে তিন স্তরের চামচাকে অতিক্রম করতে হয়। শুনতে হয় নানা কটুবাক্য। এখন চামচারাই বা কোথায়! চামাচা পরিবেষ্টিত রাজনীতিক দিয়ে তোষামোদী পাওয়া যায়। টাকা কামানো যায়। তবে গণআন্দোলন হয় না। এরই একটা নমুনা দেখা গেছে কোকোর জানাযায়। এখানে আসতে কোন চামচার দরকার হয়নি। সরাসরি কফিনের পেছনে কাতারে নামাজে দাড়িয়েছে। এই নামাজে শরীক হতে চামচার স্তর অতিক্রম করতে হয়নি তাদের। সাধারণ কর্মী সমর্থকরাও চামচাবিহীন নেতৃত্ব চায়।
অতীতে যারা মনোনয়ন পেয়েছিলেন তাদের ঘিরেই তো নিজ নিজ এলাকায় রাজপথে মানুষ নামার কথা। বিএনপি’র অতীতে যারা মনোনয়ন পেয়েছিলেন তাদেরই তো নিজ নিজ এলকা গোছানোর দায়িত্ব রয়েছে। দলের একটি নীতিও এমন যতটুকু জানা গেছে। তারাই তো নিজর নিজ এলাকায় বেগম খালেদা জিয়ার প্রতিনিধি। কারন নিজ নিজ এলকায় মানুষ তাদেরই বেশি চেনেন। তারাই বেগম খালেদা জিয়ার পতাকা বহন করেন। নির্বাচনের সময় জনসভায় বেগম খালেদা জিয়া তাদের হাতেই ধানের শীষ তুলে দিয়ে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান। সুতরাং তাদেরই তো আগে নামতে হবে।
লেখক: দৈনিক আমার দেশ-এর বিশেষ প্রতিনিধি, বর্তমানে যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত।
Comments
Post a Comment